গোলাপ পাপড়ি গুড়া-Rose Petal Powder-(Golap Papri Gura)

প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপের পাপড়ি রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোলাপ পাপড়ি মূলত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গোলাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, বার্ধক্যের ছাপ কমানো, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করা, ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা এবং ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া খাবারে নিয়মিত গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া ব্যবহার করলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্লান্তিজনক চোখ ব্যথা উপশমে অথবা মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা কমাতে গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া বেশ সহায়ক। এটি সেবনে নারভাসনেস দূর হয়, শ্বাসের সমস্যা কমে যায়। হাড় মজবুত হয় এমনকি দাঁতের ব্যথার উপশম কর।


ত্বক ও চুলে গোলাপ পাপড়ি গুঁড়ার ব্যবহার –


ত্বকের উজ্জ্বলতায়ঃ রাতে ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ গোলাপ ফুলের গুড়া ভিজিয়ে রাখুন। ঘুম থেকে উঠে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়াবে।

ডার্ক সার্কেল কমাতেঃ একটি পাত্রে গোলাপ গুড়া ভিজিয়ে রেখে তারপর তুলা দিয়ে সেই পানি চোখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালি বা ডার্ক সার্কেল দূর হয়।

ব্রণ ও ব্রণের কমাতেঃগোলাপ পাপড়ি গুঁড়া+ নিম গুড়া+ মুলতানি মাটি ও সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। সপ্তাহে ২-৩ এর ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা দূর করবে।

সানট্যান দূর করতেঃ গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া+ চালের গুঁড়া ও টমেটো পাল্প একসাথে পেস্ট করে মুখ, গলা ও হাতে মাখুন। রোদে পোড়াভাব কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জল হবে।

ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্যেঃ চিনি ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট হালকাভাবে স্ক্রাব করে নিন। এতে ঠোঁটের মৃত চামড়া উঠে আসবে। এরপর গোলাপ পেস্ট ও মধুর মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট সুন্দর হবে।

চুল সফট করতেঃ গোলাপ পাপড়ি গুঁড়ার সাথে হালকা গরম নারিকেল তেল মিশিয়ে সম্পূর্ণ চুলে ও মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ২০-২৫ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল সফট হবে এবং আগাফাটাও কমবে।

গোলাপ পাপড়ি গুড়া-Rose Petal Powder-(Golap Papri Gura)অর্ডার করুন