ভেষজি পন্যসমূহ

অশ্বগন্ধা গুঁড়া-Ashwagandha-(Ossogondha)

অশ্বগন্ধা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদী ভেষজ। ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে এটিকে ‘‘অত্যাশ্চর্য ভেষজ’’ বা অ্যাডাপ্টোজেন (মানসিক চাপ মুক্তির এজেন্ট) বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

  • মানসিক চাপের উপসর্গ বা দুশ্চিন্তার উপসর্গ কমাতে এই ভেষজটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে ব্যবহার হয় বলে এটিকে অ্যাডাপ্টোজেন বলা হয়।

  • অশ্বগন্ধার মধ্যে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান যা ক্যন্সারের উপসর্গ কমায়।

  • এর নিয়মিত সেবন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

  • হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি কার্যকর।

  • অশ্বগন্ধা পুরুষের শুক্রাণূবৃদ্ধি ঘটায়।

  • এটি শরীরের অতিরিক্ত তরল এবং লবণ বের করতে সহায়ক।

  • অশ্বগন্ধা শরীর পরিষ্কার রাখে এবং অকল বার্ধক্যের উপসর্গ প্রতিরোধ করে।

  • এটি মহিলাদের শরীরের হরমোন নিঃসরনে সমতা আনে এবং অতিরিক্ত রজঃস্রাবের উপসর্গ কমায়।

  • অশ্বগন্ধা চুলে পুষ্টি জোগায়, চুল পড়া কমতে সাহায্য করে এবং চুল দীর্ঘ এবং উজ্জ্বল করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় অকালে চুল পাকা এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।

  • এটি ত্বককে উজ্জ্বল, দাগহীন করে।

অশ্বগন্ধা সেবনবিধিঃ

  • ১-২ চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়া চা অথবা দুধ কিংবা মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করুন।

  • বাদাম ও মধুর সাথে অশ্বগন্ধা গুঁড়া মিশিয়ে সেবন করলে অনিদ্রা ও যৌন সমস্যা দূর হয়।

ত্বকের যত্নে অশ্বগন্ধাঃ

  • অশ্বগন্ধা গুঁড়া+ মুলতানি মাটি গুঁড়া ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ কমে এবং সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।

অর্জুন ছালের গুড়া -Arjun Bark Powder-(Arjun Chal Gura)

অর্জুন গাছের ছালে আছে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম। এ ছাড়াও এতে আছে গ্লুকোসাইড। এর পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন ই আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। অর্জুন গাছের ছালে আছে অনেক খনিজ উপাদান, যা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে সরাসরি মুক্তি দেবে।

কী কী রোগ থেকে মুক্তি দেয়?

নানান রোগের থেকে মুক্তির পাশাপাশি অর্জুন গাছের ছাল ত্বক ও চুলের যত্ন নিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আজ এর নানান গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন।

  • অ্যাজমার ক্ষেত্রে কিন্তু অর্জুন গাছের ছাল অসাধারণ উপকার দেয়। আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে এই অ্যাজমার সমস্যা অনেক কমে যাবে

  • অর্জুন গাছের ছাল কিন্তু হার্টের সমস্যার খুব ভালো কাজ দেয়। এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হার্টের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। করোনারি হার্টের রোগ হতে দেয় না। অর্জুন গাছের ছাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন বেটে দুধে মিশিয়ে খান। আর তা না হলে ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খেলেই হবে।

  • অর্জুন গাছের ছালে আছে অনেক খনিজ উপাদান, যা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে। যেমন –

  • নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাজমার সমস্যা অনেক কমে যাবে।

  • অর্জুন গাছের ছাল কিন্তু হার্টের সমস্যার খুব ভালো কাজ দেয়। এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হার্টের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে।

  • অর্জুন গাছের ছাল ফেস প্যাক হিসেবে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন।

  • আমাশয় হলে অর্জুন গাছের ছালের গুড়ো ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয়ের সমস্যা কমে যাবে।

  • প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নি্লে হজম ক্ষমতা বাড়ে।

  • দাঁতের মাড়ির সমস্যার জন্য অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে মাজনের মতো ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

  • বুকের ধড়পড়ানি দূর করার জন্য অর্জুনের গুড়া গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।

  • মাঝে মাঝে কারণে বা অকারণে শরীরের বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে (নাক, কান, মুখ) রক্ত পড়ে। অর্জুনের গুড়া এই সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অর্জুন ছালের গুড়া -Arjun Bark Powder-(Arjun Chal Gura)অর্ডার করুন

অলিভ অয়েল-Olive Oil-(Jolpai Tel)




আদা গুড়া -Ginger Powder-(Ada Gura)

আদা গুড়াঃ আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে একটি হচ্ছে আদা। এটি মহৌষধ নামে খ্যাত কারন এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভেষজ গুণ। এই ভেষজ গুণের দ্বারা আদা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যরক্ষার সাথে সাথে ত্বকের কাজও করে। আদায় রয়েছে-ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, লবণ, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপাদান।

শরীর

  • করে।

  • আদায় ভিটামিন-ই এবি ও সি থাকায় তা ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করে।

  • আদার পেস্ট নিয়মিত দিনে ৩-৪ চারবার লাগালে শ্বেতি রোগ ভালো হয়ে যাবে।

সুস্থ রাখতে আদার গুরুত্বঃ

  • আদার ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক উপাদান শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

  • সর্দি এবং কফজনিত অসুখ নিরাময়ে আদা সেবনে উপকার পাওয়া যায়।

  • আদা কোলন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

  • প্রাকৃতিকভাবে আদা পেইন কিলার বা ব্যথানাশকের কাজ করে। বাতজনিত গাঁটে, মাসিকের ব্যথা ও মাথাব্যথায় আদা অত্যন্ত কার্যকর।

  • আদার থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংস করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া।

  • আদা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ তথা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

  • রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর।

  • নিয়মিত আদা খেলে শরীরের হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।

  • আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা সেবনে খুব উপকার পাওয়া যায়।

  • নিয়মিত আদা সেবন পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  • আদায় নিহিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট যে কোনো কাটাছেঁড়া বা ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।

  • আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

  • আদার রস রক্তশূন্যতা দূর

আদা গুড়া -Ginger Powder-(Ada Gura)অর্ডার করুন

আল কুশি গুড়া-Mucuna Pruriens-(Alkushi Gura)




আমলকী গুড়া -Emblic Powder-(Amloki Gura)

আমলকি গুড়া / Amla Powder

আমলকি প্রচুর পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ সুপরিচিত একটি ভেষজ ফল। এর গুনের কথা বলে শেষ করবার মতো নয়। সুস্থ জীবনযাপনে আমলকির ভূমিকা অনেক বেশি।আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি যা কমলার ভিটামিনের তুলনায় ২০ গুন। এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।

আমলকি শরীরের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। কয়েক ধরণের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমলকির কার্যকারীতা প্রমাণিত। স্কার্ভি, প্রদাহ, জন্ডিস ও কিডনির রোগ নিরাময়েও এটি সক্ষম। আমলকি রক্তে কোলেস্টেরল কমায় এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া এটি রূপচর্চাতেও বহুল ব্যবহৃত।

  • প্রতিদিন মধুর সাথে আমলকির গুড়া মিশিয়ে সেবন করলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

  • ১ গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকির গুড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার পান করলে এসিডটির থেকে মুক্তি মেলে।

ত্বকের যত্ন আমলকিঃ

  • মৃতকোষ দূর করতেঃ ১চামচ আমলকি গুড়া+১চামচ কাঁচা হলুদ বাটার মিশ্রণ মুখে স্ক্রাব করে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

  • উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ ২ চামচ আমলকি গুড়া+১ চামচ মধু+১ চামচ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে মাস্কের মতো করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

  • ত্বক সতেজ করতেঃ ১ চামচ আমলকি গুড়া+১ চামচ মধু+২ চামচ টকদই দ্বারা ফেসপ্যাক বানিয়ে ২০ মিনিট মুখে রাখুন অতঃপর ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্নে আমলকিঃ

  • চুল মজবুত করতেঃ ১ টেবিল চামচ আমলকি গুড়া+ সমপরিমাণ শিকাকাই গুড়া একত্রে মিশিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে চুলো গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

  • খুশকি দূর করতেঃ ১ টে: চামচ আমলকি গুড়া+১০ ফোটা নারকেল তেল+১ চা চামচ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ভেজা চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নিন।

চুলের বৃদ্ধিতেঃ ১ চামচ আমলকি গুড়া+ ২ চামচ উষ্ণ নারকেল তেলের মিশ্রণ বানিয়ে স্ক্যাল্পে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ১ ঘন্টা পর চুলে শ্যাম্পু করে নিন।

আমলকী গুড়া -Emblic Powder-(Amloki Gura)অর্ডার করুন

আলু গুড়া -Potato Powder-(Alu Gura)

আলু পুরো পৃথিবীতে অতি পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি। তবে এটি শুধু সুস্বাদু খাবার রান্নাতেই নয় বরং আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নেও সমান কার্যকর। আলুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, আয়রন এবং পটাশিয়াম ত্বকের যত্নে অনন্য।

রূপচর্চায় আলুর বেশ কিছু অসাধারণ ব্যবহার তুলে ধরা হলঃ-

  • আলু গুঁড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট করে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

  • টমেটোর রসের সঙ্গে লেবু ও আলুর রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে দূর হবে রোদে পোড়া দাগ।

  • ডার্ক সার্কেল দূর করতে আলুর গুঁড়া সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে আঙুলের সাহায্যে চোখের আশেপাশের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

  • ত্বকের দাগ দূর করতে আলু গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোও রিপেয়ার হয়।

  • আলু গুঁড়া অল্প পানিতে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হবে এবং ত্বক টানটান হবে।

  • ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে আলু গুঁড়া+ গোলাপজল+ ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তৈলাক্ত ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন।

  • একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু গুঁড়ার মিশ্রণ তৈরি করে একটি ব্রাশের সাহায্যে তা ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

  • এটি মাস্কের কাজ করে।

  • রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

আলু গুড়া -Potato Powder-(Alu Gura)অর্ডার করুন

একাঙ্গী গুড়া-Sweet Ginger powder-(Ekangi Gura)




কমলার খোসা গুড়া- Orange Peel Powder-(Komola Khosha Gura)




কালমেঘ-Kalomegh Powder (Chiretta)-(Kalomegh Gura)

স্বাস্থ্য, চুল ও ত্বকের সুরক্ষায় কালোমেঘ বহুল ব্যবহৃত একটি ভেষজ উপাদান।

কালোমেঘে গুড়ার উপকারিতা-

  • কালোমেঘ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • কালোমেঘে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের চুল ও ত্বককে পুষ্টি জোগায়।

  • এর অ্যান্টি ফাংগাল প্রপার্টি ত্বককে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচায়।

  • এটি পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধন করে।

  • রক্ত আমাশয়, উদরাময়, অগ্নিমান্দ্য ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে।

  • কালোমেঘ চুল পড়া বন্ধ করে এবং চিল ঘন করে।

  • চুলকে খুশকিমুক্ত ও সফট করে।

  • স্ক্যাল্পের যে কোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

কালোমেঘ গুড়া সেবনবিধিঃ

  • রাতে ১ চামচ কালোমেঘ গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উপরের পানিটা শুধু পান করবেন। নিচের জমা অংশ ফেলে দেবেন। একই নিয়মে রাতেও পান করবেন।

চুল ও ত্বকের যত্নে কালোমেঘ গুঁড়ার ব্যবহারঃ

  • চুল পড়া কমাতে ৩-৪ চামচ কালমেঘ গুড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ভালো করে মাথায় লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে নতুন চুল গজাবে এবং চুল ঝলমলে সুন্দর হবে।

  • চুলের খুশকি দূর করতে – ৩ চামচ কালমেঘ গুড়া+২ চামচ আমলকী গুড়া+ ১ চামচ লেবুর রস + সামান্য টকদই মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

  • কালোমেঘের গুড়া+ কারিপাতা +ব্রাম্মি একসাথে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

  • ত্বকের ব্রণ কমাতে- কালোমেঘ গুঁড়া+নিম গুঁড়া+ কস্তরি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। কার্যকরী ফলাফল পাবেন।

কালমেঘ-Kalomegh Powder (Chiretta)-(Kalomegh Gura)অর্ডার করুন

কালোজিরা তেল-Black Cumin Oil-(Kalojira Tel)




কালোজাম বীজ গুড়া-Black Plum Seeds Powder-(Kalojam Bij Gura)




"Curry leaf Powder (কারি পাতা গুড়া)

কারি পাতাকে আমরা মসলাজাতীয় পাতা হিসেবেই চিনি। তবে কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং এটি আমাদের শরীর সুস্থ ও সৌন্দর্য রক্ষা করার ক্ষমতাও বাড়ায়।

এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই।

কারিপাতার স্বাস্থ্যকথনঃ

★ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমান ঠিক রাখে।

★ কারি পাতা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিন থেকে লিভারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এবং হজমেও সহায়তা করে।

★ কারি পাতা শরীরে আয়রন এর জন্য একটি ভালো উৎস। এতে থাকা ফলিক এসিড হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।

★ কারিপাতা চোখের ছানি প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এছাড়া কারি পাতা রূপচর্চায় ব্যবহার করেও যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।

★ কারিপাতা ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, র‌্যাশ ইত্যাদি সমস্যা দূর করে।

★ এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে

★ মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্কতা রোধ করে।

★ চুলকে ঘন করে এবং চুলের অকালপক্বতা প্রতিরোধ করে

ব্যবহার বিধিঃ

👉 কারিপাতার+ গোলাপ গুড়া+ মুলতানি মাটি গুড়া ও টক দই একসাথে পেস্ট যেকোনো প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বকের দাগ কমবে।

★ ২ টেবিল চামচ কারি পাতা গুড়া পানিতে মিশিয়ে পেস্ট করে তা মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। অতঃপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল বাড়বে, স্মুদ এবং হবে।

Curry leaf Powder (কারি পাতা গুড়া) অর্ডার করুন

কুমড়ার বিচি-Pumpkin Seed-(Kumrar Bichi)




গোলাপ পাপড়ি গুড়া-Rose Petal Powder-(Golap Papri Gura)

প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপের পাপড়ি রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোলাপ পাপড়ি মূলত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গোলাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, বার্ধক্যের ছাপ কমানো, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করা, ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা এবং ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া খাবারে নিয়মিত গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া ব্যবহার করলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্লান্তিজনক চোখ ব্যথা উপশমে অথবা মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা কমাতে গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া বেশ সহায়ক। এটি সেবনে নারভাসনেস দূর হয়, শ্বাসের সমস্যা কমে যায়। হাড় মজবুত হয় এমনকি দাঁতের ব্যথার উপশম কর।


ত্বক ও চুলে গোলাপ পাপড়ি গুঁড়ার ব্যবহার –


ত্বকের উজ্জ্বলতায়ঃ রাতে ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ গোলাপ ফুলের গুড়া ভিজিয়ে রাখুন। ঘুম থেকে উঠে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়াবে।

ডার্ক সার্কেল কমাতেঃ একটি পাত্রে গোলাপ গুড়া ভিজিয়ে রেখে তারপর তুলা দিয়ে সেই পানি চোখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালি বা ডার্ক সার্কেল দূর হয়।

ব্রণ ও ব্রণের কমাতেঃগোলাপ পাপড়ি গুঁড়া+ নিম গুড়া+ মুলতানি মাটি ও সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। সপ্তাহে ২-৩ এর ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা দূর করবে।

সানট্যান দূর করতেঃ গোলাপ পাপড়ি গুঁড়া+ চালের গুঁড়া ও টমেটো পাল্প একসাথে পেস্ট করে মুখ, গলা ও হাতে মাখুন। রোদে পোড়াভাব কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জল হবে।

ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্যেঃ চিনি ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট হালকাভাবে স্ক্রাব করে নিন। এতে ঠোঁটের মৃত চামড়া উঠে আসবে। এরপর গোলাপ পেস্ট ও মধুর মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট সুন্দর হবে।

চুল সফট করতেঃ গোলাপ পাপড়ি গুঁড়ার সাথে হালকা গরম নারিকেল তেল মিশিয়ে সম্পূর্ণ চুলে ও মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ২০-২৫ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল সফট হবে এবং আগাফাটাও কমবে।

গোলাপ পাপড়ি গুড়া-Rose Petal Powder-(Golap Papri Gura)অর্ডার করুন

জটামানসী গুঁড়া-Spikenard Powder-(Jotamanshi Gura

ত্বকের যত্নেঃ ১।ত্বককে পরিষ্কার করে তোলে। ২।এ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। ৩।এ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আছে। ৪।ত্বকের ব্যাথা উপশম করে।চুলের যত্নেঃ ১।চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। ২।চুলকে দীর্ঘ এবং ঘন করে।৩।প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে কালো রাখতে সাহায্য করে। ৪।খুশকি দূর করে।৫।চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ব্যবহার বিধিঃ ১।ত্বকে জ্বলন বোধ নিরাময় করতে পারে ঠাণ্ডা পানিতে জটামানসি গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় প্রয়োগ করতে পারেন। ২। তিলের তেলে প্রক্রিয়াজাত জাটামনসি পাউডার চুল পড়া কমাতে এবং চুলকে অকাল ছাই কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। ৩।জটামানসি এ্যালো অলিভঅয়েল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে রিঙ্কেল দূর হয়। ৪।গর্ভাবস্থায় বা প্রেগন্যান্সির সময় জটামানসি গুড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

জটামানসী গুঁড়া-Spikenard Powder-(Jotamanshi Gura)অর্ডার করুন

জবা ফুল-Hibiscus Powder-(Joba ful powder)

জবা ফুল (Hibiscus) আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ফুল। সাধারণত চুলের ও ত্বকের যত্নে এই ফুলের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। জবা ফুলে আছে ভিটামিন সি ও এ, আলফা হাইড্রোক্সিল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলের উপকারের সাথে সাথে ত্বক সুন্দর করে ।


ত্বকের যত্নে জবা ফুল


★ শুষ্ক ত্বকের নিরাময়েঃ নারিকেল তেল বা আ্যালো-অলিভ অয়েল এর সাথে জবা ফুল গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি যেকোন ধরণের ফাটা দূর করতে সহায়তা করে।


★ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও বলিরেখা কমাতেঃ ২ চামচ জবা ফুলে গুঁড়া ও ৩ চামচ টক দই এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা প্যাক হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।



★ত্বকের তৈলাক্ততা ও টক্সিন কমাতেঃ জবা গুড়া পেস্ট করে তাতে মুলতানি মাটির গুড়া ও পানি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ততা থেকে মুক্তি মেলে এবং ত্বকের টক্সিন বের হয়ে যায়। সপ্তাহে ২ থেকে ৫ দিন এই প্যাক ব্যবহার করা যায়।



চুলের যত্নে জবা ফুলঃ


★ খুশকি দূর করতেঃ খুশকি কমাতে জবা ফুল দারুন কার্যকর ।১ মুঠো জবা গুঁড়া+ ১ মুঠো মেহেদি গুঁড়া ও ১ চা চামচ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি কমে যাবে।



★ অকালে চুল পাকা রোধ করতেঃ জবা ফুল গুড়ার সাথে টক দই মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছু সময় রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে । এতে অকালে চুল পাকবে না।



★স্কাল্পের চুলকানি কমায়ঃ


জবা ফুলে বিদ্যমান ভিটামিন এ, সি স্কাল্পের সমস্যা কমায়। জবা ফুল গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে, ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে স্কাল্পের চুলকানি কমে যাবে ।



এছাড়া জবা ফুলে আছে শরীরকে রোগমুক্ত করার ক্ষমতা। গবেষকরা বলেছেন, সুস্থতায় ভেষজ হিসেবে জবা ফুল সব দিক থেকে নিরাপদ। যে কোনও ব্লাড গ্রুপের সদস্যরাও এটি খেতে পারেন। সব থেকে বড় কথা হলো- শরীরে জবার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।



★ জবা ফুলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান রয়েছে যা ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। এই ফুলের নির্যাসে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন লিউকেমিয়া আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে। তাই নিয়মিত জবা ফুল গুঁড়া মিশ্রিত চা পান করুন।



★ যাদের যৌনশক্তি কমে এসেছে তাদের যৌনশক্তি বাড়াতে জবা গুঁড়া খুবই কার্যকরী।



★ জবা ফুল গুঁড়া আমাদের শরীরের কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে এনে হার্টের সমস্যা দূর করে।



★ জবা গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত পাম করলে ব্লাত প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ফল পেতে দিনে তিন কাপ করে জবা ফুল গুঁড়া মিশ্রিত পানি অন্তত ছ-সপ্তাহ খেয়ে যেতে হবে।


★ জবা ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মহাষৌধ।

জবা ফুল-Hibiscus Powder-(Joba ful powder)অর্ডার করুন


ডালিম খোসা গুড়া-Pomegranate Peel Powder-(Dalim Khosha Gura)

ডালিমে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন এ, সি, ই প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান।

  • ডালিমের খোসা গুঁড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

  • ডালিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে এলাজিক এসিড রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে।

  • এতে ১০০ গ্রামেরও বেশি ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে সুস্থ ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • এর জিঙ্ক ও কপার নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ব্রণ দূর করে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে।

  • কাশি বা গলাব্যথা হলে বেদানার খোসা গুঁড়া গরমজলে ফুটিয়ে গারগোল করলে আরাম পাওয়া যায়।

  • ডালিমের খোসা গুঁড়া থেকে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডাইটিস আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল লেবেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

  • ডালিমের খোসা গুঁড়া এক গ্লাস জলে মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের সমস্যা এবং মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হয়।

ব্যবহার বিধিঃ

  • ২ চামচ ডালিমের খোসাগুঁড়া, ১ চামচ মধু, ১ চামচ কাঁচা দুধ, ১ চামচ টক দই ও ১ চামচ টমেটো রস ইত্যাদি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি সম্পূর্ণ মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে ত্বককে করবে ফর্সা এবং উজ্জ্বল।

  • ত্বকের ব্রণ দূর করতে ডালিমের খোসা গুঁড়া+ তুলশী গুঁড়া+ পুদিনা গুঁড়া+ কস্তরী হলুূদ গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

  • ডালিমের খোসা গুঁড়া+ মসুর ডাল গুঁড়া+ কমলার খোসা গুঁড়া+ মুলতানি মাটি গুঁড়া মিশ্রণে তৈরী প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মৃতকোষ দূর হয়।

  • ডালিমের খোসা গুঁড়া+ আমলকি গুঁড়া+ বহেরা গুঁড়া+ মেহেদি গুঁড়া একসাথে মিশয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।

ডালিম খোসা গুড়া-Pomegranate Peel Powder-(Dalim Khosha Gura)অর্ডার করুন

তেজপাতা গুড়া-Bay Leaf Powder-(Tejpata Gura)

তেজপাতা খুবই পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সুগন্ধি মসলা। তবে ঔষুধি গুনের দিক থেকে তেজপাতাকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে ডায়বেটিকস রোগের জন্য তেজপাতা একটি মহৌষধ।

  • তেজপাতা হৃৎযন্ত্রের পেশিগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

  • রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়বেটিকস প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

  • তেজপাতার রস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

  • এর গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।

  • তেজপাতায় আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টি যা শরীরের যেকোনো ব্যাক্টেরিয়া, চুলকানি, ব্রণ ইত্যাদি দূর করে।

এছাড়াও ত্বক ও চুলের যত্নে তেজপাতা গুঁড়া কিছু গুনাগুনঃ

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

  • তেলতেলে ভাব দূর করে।

  • ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে।

  • প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে

  • চুল পড়া কমায়।

  • চুলের খুশকি ও রুক্ষতা দূর করে।

  • তেজপাতা গুঁড়া+শসা+মধু+ দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

  • তৈলাক্ত ত্বকের প্যাকঃ

  • ১ চা চামচ তেজপাতা গুঁড়া + ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করবে।

  • প্রতিদিন রং চায়ের সঙ্গে তেজপাতা খেলে ত্বকের সতেজতা ঠিক থাকবে।

  • তেজপাতা গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া কমায়।

  • চুলের খুশকি দূর করতে নারকেল তেলের সাথে তেজপাতা গুঁড়া মিশিয়ে তা মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এর নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হয়।

তেজপাতা গুড়া-Bay Leaf Powder-(Tejpata Gura)অর্ডার করুন

তুলসি গুড়া-Holy Basil Powder-(Tulshi Gura)

তুলশী হরেকরকম গুণে গুনান্বিত একটি ভেষজ। এর রয়েছে রোগ নিরাময়কারী অসাধারণ সব ক্ষমতা।

ফুসফুসের দুর্বলতা, কাশি, কুষ্ঠ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর, চর্মরোগ, বক্ষবেদনা ও হাঁপানি, হাম, বসন্ত, কৃমি, ঘামাচি, রক্তে চিনির পরিমাণ হ্রাস, কীটের দংশন, কানব্যথা, ব্রংকাইটিস, আমাশয় ও অজীর্ণে তুলসী বিশেষভাবে কার্যকর।

  • শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাঃ ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়।

  • হার্টের অসুখঃ তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

  • মানসিক চাপঃ তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমায় এবং নার্ভকে শান্ত করে। এ ছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • মাথা ব্যথাঃ মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।

  • বার্ধক্যঃ ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে যা বয়সজনিত সমস্যাগুলো কমায়। তুলসী পাতাকে বলা হয় যৌবন চিরকাল ধরে রাখার টনিক।

  • রোগ নিরাময় ক্ষমতাঃ তুলসী গাছের ঔষধি-গুণাবলি সমৃদ্ধ গাছ। তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

  • পোকার কামড়ঃ তুলসী পাতায় রয়েছে প্রোফাইল্যাক্টিভ যা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার গুঁড়া পেস্ট লাগিয়ে রাখলে পোকার কামড়ের ব্যথা ও জ্বালা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

সেবনবিধিঃ ১-২ চামচ তুলসী পাতা গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করুন

এছাড়া নিয়মিত তুলশী গুঁড়া মিশ্রিত চা পান করলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর হয়।

এছাড়া ত্বকের সমস্যা সমাধানেও তুলসীর জুড়ি নেই।

  • তুলসী পাতা গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট করে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়।

  • তুলসী পাতা গুঁড়া তিলে তেলের মধ্যে ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যে কোনও সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়।

  • ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে তুলশী গুঁড়া এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমে যায় এবং ক্ষতের দাগ পড়া রোধ করে।

তুলসি গুড়া-Holy Basil Powder-(Tulshi Gura)অর্ডার করুন

তেতুল বীজ গুড়া-Tamarind Seed Powder-(Tetul Bij Gura)

তেতুল বীজ গুঁড়া: ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করে, ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ব্রণের সমস্যা দূর করে।

তেঁতুল বীজ গুড়ার উপকারিতাঃ

  • তেঁতুল বীজ ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট এর হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের ব্রণের সমস্যা তাদের জন্যেও উপকারী তেঁতুল বীজ। ত্বকের যত্নেঃ

  • ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

  • ত্বককে উজ্জ্বল করে।

  • ব্রণের সমস্যা দূর করে।

  • ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

  • ত্বকে তেতুল বীজ গুঁড়া ব্যবহারের নিয়মঃ

  • প্যাক- ১ তেঁতুল বীজ গুড়া ১ চামচ, ২ চামচ টক দই ও ১/২ চিমটি কস্তুরি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। মুখের যেখানে ব্রণ রয়েছে সেখানে ভালো করে প্যাকটি লাগান। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

  • প্যাক- ২ তেঁতুল বীজের গুড়া ১ চামচ, গোলাপ গুড়া ১ চামচ, মধু ইত্যাদি পরিমান মতো মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। ২০ মিনিট গলার কালো জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই প্যাকটি গলায় লাগান। দেখবেন আস্তে আস্তে গলার কালো দাগ মিলিয়ে যাচ্ছে। প্যাক- ৩ তেঁতুল বীজ গুড়া ১ চামচ, মধু ১ চামচ, ময়দা ১ চামচ দিয়ে প্যাকটি বানিয়ে ফেলুন। ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

তেতুল বীজ গুড়া-Tamarind Seed Powder-(Tetul Bij Gura)অর্ডার করুন

ত্রিফলা গুড়া-Triphala Powder-(Trifola Chruna)

ত্রিফলা’ কথাটির অর্থ হলো তিন ফলের সমাহার। আর এই ফল তিনটি হলো- আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া। দ্রব্যগুণে ফল তিনটির অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। শুধু আয়ুুর্বেদ শাস্ত্রে নয়, আধুনিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে যে, দ্রব্যগুণে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে হরিতকী, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমলকী এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া।

কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় ,প্রসাবের জ্বালা, পেটে ব্যাথা ,পেটের গোলযোগ ইত্যাদি নানা রোগের চিকিৎসায় বহেরা খাওয়া হয়।

  • ত্রিফলার তিন ফলঃ
    আমলকিঃ
    আমলকি ফলটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং এটি ভিটামিন সি-এর বিশ্বের উৎকৃষ্টতম উৎস। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে এবং বার্ধক্যপ্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

  • বহেড়াঃ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র উপলব্ধ এই ফলটি আয়ুর্বেদ এবং অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থায় জায়গা করে নিয়েছে জ্বর প্রতিরোধকারী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও যক্কৃত সুরক্ষাকারী হিসেবে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ এটি। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী বহেড়া ফলগ্লুকোসাইড, ট্যানিন, গ্যালিক এসিড, ইথাইল গ্যালেটের মত একগুচ্ছ জৈব উপাদানে সমৃদ্ধ যা শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • হরিতকীঃ তিক্ত স্বাদযুক্ত এই ফলটি আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা করে। মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিক কোনো রোগে হরিতকী খুবই কার্যকরী। এটি রেচক, সঙ্কোচক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, মাংসপেশীর সঙ্কোচন প্রতিরোধক এবং স্নায়বিক দুর্বলতা প্রতিরোধী গুণসম্পন্ন। দীর্ঘদিনের পুরোনো কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, উদ্বিগ্নতা এবং অল্পতেই হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় হরিতকী ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলার তিনটি ফলের মধ্যে হরিতকী শ্রেষ্ঠ রেচক।

বহুগুনে গুণান্বিত এই তিনটি ফল একত্রে মিশে আরও শক্তিশালী হয়ে শরীরের নানাবিধ রোগবালাই নিরাময় করে।

ত্রিফলার উপকারিতাঃ

  • ত্রিফলা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ কর

  • ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং বদহজম জনিত সমস্যা দূর করে।

  • গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা কোলেস্টেরল লেভেল এবং আর্থ্রাইটিস এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

  • এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

  • শরীরের টক্সিন বের করে ত্বকের চর্মরোগ, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদি কমায়।

  • এতে বিদ্যমান এনজাইম এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া রোধ করে ও তারুণ্য বজায় রাখে। ত্বককে সুন্দর রাখে।

  • ত্রিফলায় থাকা আমলকী ও হরিতকি চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

সেবনবিধিঃ প্রতি রাতে ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়া মিশিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে খালিপেটে শুধু উপরের পানিটুকু পান করুন। এর আধাঘন্টা পর খাবার খেতে পারেন।

এছাড়া ত্রিফলা গুঁড়া চায়ে মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন।

ত্রিফলা গুড়া-Triphala Powder-(Trifola Chruna)অর্ডার করুন

থানকুনি পাতা গুড়া -Centella Leaf Powder-(Thankuni Pata Gura)

থানকুনি আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার নির্যাস রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন থানকুনি পাতা সেবনে পা হতে মাথা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

থানকুনির পাতার কিছু ব্যবহারঃ

  • থানকুনির Bacoside A এবং Bacoside B উপাদান মস্তিষ্কের কোষের গঠন এবং মস্তিষ্কে রক্তসংবহন বাড়াতে সাহায্য করে।

  • পেটের রোগ নিরাময়ে থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। পেটের যেকোনো ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে এটি নিয়মিত খান

  • কেবল পেটের ব্যথাই নয়, বরং আলসার ও বিভিন্ন চর্মরোগ থানকুনি দ্বারা নিরাময় করা সম্ভাব।

  • জ্বর ও আমাশয় নিরাময়ে থানকুনির পাতা খেলে দারুন ফল পাওয়া যায়।

  • থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া দুধের সাথে থানকুনির পাতা গুঁড়া এবং মিছরি একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে পেটের গ্যাস্টিক ভাল হয়।

  • প্রতিদিন খালি পেটে ১চামচ থানকুনি পাতা গুঁড়া ও এক চামচ মধু মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ প্রতিহত হয়।

  • দাঁতের সমস্যা সমাধানে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই। থানকুনি পাতার নির্যাস রক্তপাত, মাড়ি ও দাঁত ব্যথা উপশম করে। থানকুনি পাতা গুঁড়া কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে কুলি করলে দাতের ব্যথা অনেক কমে যাবে।

  • বেগুন/পেপের সাথে থানকুনি পাতার শুঁকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

  • প্রতিদিন সকালে ১ চামচ থানকুনি পাতার গুঁড়া এবং ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস সামান্য চিনি বা মধুর সাথে খাওয়ালে বাচ্চাদের লিভারের সমস্যার সমাধান হয়।

  • পুরাতন ক্ষত না শুকালে তাতে থানকুনি পাতার গুঁড়া পেস্ট করে প্রলেপ দিলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়া থানকুনি পাতা ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। যেমনঃ

  • স্কিনের মৃতপ্রায় কোষের জন্য থানকুনির খুব উপকারী। থানকুনির নির্যাস মৃতপ্রায় কোষ পুনরায় সংগঠিত করে। এটি ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে বাঁচায়, ফলে শুষ্ক ত্বক মসৃণ হয়ে যায়। থানকুনি পাতা গুঁড়া+ মুলতানি মাটি গুঁড়া ও নিম গুঁড়া একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

  • চুল পড়া কমাতে পরিমানমতো থানকুনি পাতা গুঁড়া+আমলকি গুঁড়া ও তুলসী গুঁড়ার মিশ্রণ স্ক্যাল্প সহ চুলে ম্যাসাজ করুন। এটি ব্যবহারে চুলের খুশকিও দূর হয়।

থানকুনি পাতা গুড়া -Centella Leaf Powder-(Thankuni Pata Gura)অর্ডার করুন

দারুচিনি-Cinnamon Powder-(Darchini Gura)

দারুচিনি গাছের বাকল অত্যন্ত সুগন্ধিময় এবং ঝাঝালো একটি মশলা। যদিও রান্নার কাজেই এটি বেশি ব্যবহৃত হয়, তবে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় এর রয়েছে অভাবনীয় গুনাগুন।

দারুচিনির কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার ও উপকারিতাঃ

  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ- দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত দারুচিনি গুঁড়ার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ- দারুচিনি নানাবিধ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। এটি গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, টিউমার ও মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে।

  • মরনব্যাধি লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়ার বিস্তার প্রতিহত করে।

  • কন্ঠনালী সুস্থ রাখেঃ- কন্ঠস্বর সাময়িকভাবে বিকৃত হলে ১ গ্রাম পরিমান দারুচনি গুঁড়া আধকাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানিটা পান করলে কন্ঠস্বর স্বভাবিক হয়। গলক্ষতের ক্ষেত্রে সকাল-বিকাল দু’বেলা অল্প করে খেলে গলক্ষতের উপশম হয় ।

  • দাঁতের যন্ত্রণা কমায়ঃ- দাঁতের যন্ত্রণায় দারুচিনির গুঁড়ো ব্যথা দাঁতের গোড়ায় লাগালে যন্ত্রণা উপশম হয়। কিংবা ৩/৪ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়ো আধকাপ গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেটা ছেকে নিন। সেই পানি মুখে পুরে ৫/৭ মিনিট রেখে ফেলে দিন। এতে ব্যথা কমে যায়।

  • কৃমি দূর করেঃ- ঝুরো কৃমির আক্রমণে কষ্ট পেলে দারুচিনি গুঁড়া সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে খান। এতে কৃমিজনিত সমস্যা দূর হবে।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ- দারুচিনি রক্তের কোলেস্টেরল কম করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দাদ-একজিমা দূর করেঃ- ৩ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া ২কাপ পানিতে ফুটিয়ে ছেকে নিয়ে কিছু খাওয়ার পর সেই ক্বাথ সকাল ও বিকাল খেতে হবে। পাশাপাশি ২/৩ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া অল্প দুধের সর বা বেড়ির তেলের সাথে মিশিয়ে একদিন পরপর দাদ বা একজিমার স্থানে লাগান।

ত্বকের যত্নে দারুচিনির ব্যবহারঃ-

  • ত্বক উজ্জ্বল করেঃ- ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়া + ২ চামচ দই + ১ চামচ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে তা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলু।

  • ব্রণের দাগ কমায়ঃ- ১ চিমটি দারুচিনি গুড়ো+ ১ চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। শোবার আগে মুখ পরিস্কার করে যেখানে যেখানে দাগ বা ব্রণ আছে সেখানে পেস্ট টা লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমবে।

  • মেছতা দূর করেঃ- দারুচিনি গুঁড়ো দুধের সরের সাথে মিশিয়ে মেছতার উপর ঘষলে মেছতার দাগ ধীরেধীরে মিলিয়ে যায়।

দারুচিনি-Cinnamon Powder-(Darchini Gura)অর্ডার করুন

নিম পাতা গুড়া-Neem Powder-(Neem Gura)

নিম আমাদের দেশে অতি সুপরিচিত একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন বৃক্ষ। নিমের গুনাগুন বলে শেষ করার মত নয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ত্বক পরিচর্যা ও রোগ নিরাময়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নিম। এটি বিভিন্ন রোগের মহার্ঘ্য ঔষধ।

  • নিমে আছে প্রায় ২২ টিরও অধিক রোগ নিরাময়ের আশ্চর্য ক্ষমতা।

  • এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীর তথা ত্বকের যাবতীয় ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস ধ্বংস করতে সক্ষম

  • নিম রক্ত সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • নিয়মিত নিমপাতার গুড়া মিশ্রিত পানি পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

  • নিম পাচনতন্ত্র কে সক্রিয় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা ও কৃমিজনিত সমস্যার সমাধান করে।

  • নিম ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

  • ত্বকের ব্রণ-ফুস্কুড়ি, এ্যাকজিমা, এলার্জি, খোসপাঁচড়া ইত্যাদি দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

  • চুলকে খুশকিমুক্ত ও স্ক্যাল্পের যেকোনো সংক্রমণ দূর করে।

ত্বক ও চুলের যত্নে নিমের ব্যবহারঃ

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পরিমানমতো নিম গুড়া+সামান্য দুধ+কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া নিমগুড়া ও সামান্য কাঁচা হলুদ একত্রে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে ব্যবহার করলেও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়

  • ব্রণ দূর করতে নিম গুড়া+ গোলাপজল ও কয়েকফোটা লেবুর রসের মিশ্রণ ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

  • ত্বকের ব্ল্যাকহেডস কমাতে, নিম গুঁড়া ও কমলার খোসা গুঁড়া প্রথমে একত্রে মিশিয়ে তাতে সামান্য দুধ ও মধু যোগ করুন। পেস্ট করে মুখ, গলা ও হাতে মাখুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করুন।

  • ২ চামচ নিম গুড়া+ ১ চামচ আমলকি গুড়া+ ১চামচ লেবুর রস ও পরিমানমতো টকদই একত্রে ব্লেন্ড করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। আধধঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি চুলকে খুশকি ও উকুনমুক্ত করবে।

নিমগুড়া সেবনবিধিঃ

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিমগুড়া ও সামান্য পানি মিশিয়ে বড়ি তৈরী করে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ১ টি করে বড়ি খান।

  • নিম গুড়া গরম পানিতে মিশিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। শরীর সুস্থ রাখতে এই নিম চা কার্যকরী।

নিম পাতা গুড়া-Neem Powder-(Neem Gura)অর্ডার করুন

পুদিনা পাতা গুড়া-Mint leaf Powder-(Pudina Pata Gura)

প্রাচীন কাল থেকেই পুদিনা পাতা ভেজষ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে এই পাতা বহু রোগ সারানোতে কার্যকরী। পুদিনা এক প্রকারের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর রয়েছে অসংখ্য ভেষজ গুণ।

যেমনঃ

  • হাঁপানির চিকিৎসায়- পুদিনায় থাকা রোজমেরিক অ্যাসিড নামক উপাদান প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে হাঁপানি হয় না। এবং এর রস প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তার ফলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে।

  • পেটের ব্যাথা উপশম- পুদিনা ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর যা পেটের ব্যাথা উপশম করে।

  • ক্যানসার প্রতিরোধ- পুদিনা কোলনের পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার, অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার হওয়া প্রতিরোধ করে। নিয়মিত পুদিনা পাতা গুঁড়া সেবনে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

  • কাশি নিরাময়- গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতার গুঁড়া ফুটিয়ে পান করুন। এটি এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে।

  • পুদিনা পাতা গুঁড়ার সাথে সামান্য গোলমরিচ গুড়া মিশিয়ে খেলে হেচকি সমস্যা দূর হয়।

  • পুদিনা পাতা গুঁড়া নিয়মিত সেবনে শরীরের ব্যাথা-বেদনা দূর হয়।

  • দাতের ব্যাথা ও মাড়ির যেকোনো রোগ নিরাময়ে পুদিনা পাতা গুঁড়া অত্যন্ত কার্যকরী।

  • পুদিনার পাতা গুঁড়া+ ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশ্রিত পানি বা শরবত পান করলে ক্লান্তিভাব দূর হয়।

  • এটি অরুচি, বদহজম ইত্যাদি দূর করে।

  • নিয়মিত পুদিনা পাতা গুঁড়া মিশ্রিত চা পানে করলে শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা থাকে।

সৌন্দর্য চর্চায় পুদিনার ব্যবহারঃ

  • পুদিনা পাতা গুঁড়া সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগালে অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হয় এবং ব্রণ হওয়া কমে

  • ১ চামচ পুদিনা গুঁড়া ও ১ চামচ অ্যালোভেরার রস একত্রে মিশিয়ে ত্বকে নিয়মিত লাগালে ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর হয়।

  • পুদিনা পাতা গুঁড়া ও গোলাপজলের পেস্ট লাগালে ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • উকুনের জন্য মোক্ষম একটি ট্রিটমেন্ট হলো পুদিনা।

  • পানির সাথে পুদিনা গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে মাখলে উকুন চলে যাবে।

পুদিনা পাতা গুড়া-Mint leaf Powder-(Pudina Pata Gura)অর্ডার করুন

পুনর্নভা গুড়া-Punarnava Powder-(Punarnava Gura)




বহেরা গুড়া-Terminalia Bellirica-(Bohera Gura)

বহেরা অতিপ্রাচীন এবং অত্যধিক ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি শক্তিশালী ভেষজ ফল। আয়ুর্বেদের প্রতিটি ঔষধে এর ব্যবহার রয়েছে। এটি শরীরকে রোগমুক্ত করে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি চুলের সমস্যা দূর করতেও যথেষ্ট কার্যকর।

নিয়মিত বহেরা মিশ্রিত পানি পান করলে মানবদেহ রোগমুক্ত হয় এবং আয়ু বাড়ে।বহেরায় আছে অভাবনীয় রোগ নিরাময় ক্ষমত। যেমনঃ

  • বহেরা পুরনো আমাশয় এবং আমাশয়জনিত সকল সমস্যা দূর করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ বহেরা গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে সেব্য।*

  • শ্লেষ্মাজনিত অসুস্থতা দূর করতে বহেরা কার্যকর। ঘি অল্প গরম করে তাতে আধা চা চামচ বহেরা গুঁড়া মিশিয়ে পুণরায় গরম করুন। এরপর তাতে মধু মিশিয়ে চেটে খান

  • বহেড়া গুঁড়ার সাথে ডালিম পাতার রস মিশিয়ে খেলে কৃমি সমস্যার সমাধান হয়।

  • বহেরা গুঁড়া সেবনে ইন্দ্রিয়াঙ্গের দুর্বলতা দূর হয়।

  • এছাড়াও চুলের সমস্যা সমাধানে বহেরা অত্যন্ত কার্যকর।

  • বহেরা চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। চুল মজবুত করে। চুল ভাঙা ও চুল পড়া কমায়।

  • অকালে চুল পাকা রোধ করতে ১কাপ কুসুম গরম পানিতে বহেরা গুঁড়া অন্তত দুঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তা ছেঁকে সেই পানি দ্বারা চুল ধুয়ে ফেলুন। *

  • নিয়মিত ব্যবহারে অকালে চুল পাকা বন্ধ হবে।

  • টাক পড়া সমস্যায় বহেরা গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগান।

সর্তকতাঃ মাথার তালুর ত্বকে কোনো প্রকার চর্মরোগ এলার্জি থাকলে বহেরা ব্যবহার না করাই ভালো।

বহেরা গুড়া-Terminalia Bellirica-(Bohera Gura)অর্ডার করুন

বেল গুড়া-Aegle Marmelos Powder-(Bel Powder)

বেলের হাজার গুন ,এর উপকারিতা বলে শেষ করা মুশকিল। বেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারের কথা তুলে ধরা হল- বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে দারুন উপকারি। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়-ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব ।

  • বেল পেট ঠাণ্ডা রাখে। গরমের সময় পরিশ্রম করার পর বেলের সরবত খেলে ক্লান্তি ভাব দূর হয় ।

  • বেলের ভিটামিন “এ” চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর পুষ্টি যোগায়। ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • বেলের শাঁস পিচ্ছিল ধরনের। এমন হওয়ার কারনে এই ফল পাকস্থলীতে উপকারী পরিবেশ সৃষ্টি করে,খাবার সঠিক ভাবে হজম করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ট কাঠিন্য দূর হয় ।

  • বেলে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বা আঁশ, যা মুখের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। যাদের পাইলস আছে, তাদের জন্য নিয়মিত বেল খাওয়া উপকারী।

  • বেলে আছে ভিটামিন সি । ভিটামিন সি গ্রীষ্মকালীন বহু রোগ বালাইকে দূরে রাখে

  • জন্ডিসের সময় বেল গোল মরিচের সাথে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

  • নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় ।

  • যাদের আলসার আছে তারা বেলগুঁড়ার সাথে পরিমান মতো বার্লি মিশিয়ে রান্না করে নিয়মিত খেলে আলসার দ্রুত সেরে যায়।

বেল গুড়া-Aegle Marmelos Powder-(Bel Powder)অর্ডার করুন

বিটরুট গুড়া-Beetroot Powder-(Beetroot Gura)

বিট খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বিটের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মিনারেল পাওয়া যায় যেমন ক্যালসিয়াম‚ আয়রন‚ ম্যাগনেসিয়াম‚ পটাসিয়াম‚ সোডিয়াম ফসফরাস আর জিঙ্ক। এছাড়াও এতে ফোলেট এবং ভিটামিন এ, বি, সি, পাওয়া যায়।

👉বিটে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে। বিট জুস পানে শরীরের টক্সিন দূর হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

👉বিটরুটে থাকা ফাইবার শরীর ডিটক্সিফাই করে বলে লিভার সুস্থ রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।

👉ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ সারাতে বিট জুসের তুলনা নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি ঘটাতেও সাহায্য করে।

👉প্রতি ১০০ গ্রাম বিটরুটে শতকরা ২৭ ভাগ ফলিক এসিড থাকে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে শিশুর জন্মকালীন ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

👉আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস হওয়ায় বিট জুস রক্তশূন্যতা রোধে সহায়ক। এর জুস পান করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২-ও পাওয়া যায়।

👉কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর জমা প্রতিরোধে সাহায্য করে বিটরুট। এ ছাড়া নিয়মিত এ জুস খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। বিটরুট জুস করার সময় গাজর, শসা, সেলেরি যোগ করলে আরও উপকার পাওয়া যায়। সালাদ তৈরি করতেও বিটরুট ব্যবহার করা যায়।

বিটরুট গুড়া-Beetroot Powder-(Beetroot Gura)অর্ডার করুন

ব্রাম্মি গুড়া-Bacopa monnieri-(Brahmi Powder)

ব্রাহ্মী শাক মস্তিষ্কের স্মরণশক্তি বাড়ানোর কারনে শিক্ষার্থীদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রের সেই জন্ম লগ্ন থেকেই এই শাকটির ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্রাক্ষ্মী পাতাকে চা, পাতা হিসেবে কিংবা অন্য যেকোন ভাবে খেলেই সেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা ভাইরাস, প্যথজেন ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ব্রাক্ষ্মী শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি উপাদানের উৎকর্ষতা বাড়ায়।

শরীরকে নিরোগ রাখতে ব্রাহ্মী অত্যন্ত কার্যকরী। যেমনঃ-

  • ব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ- মনের সাথে জড়িত বিভিন্ন অবস্থার নিরাময়ের ক্ষেত্রে এই ভেষজ খুবই কার্যকারী। স্মৃতিশক্তি, মনঃসংযোগের ঘাটতিজনিত সমস্যা দূর করে এটি। মস্তিষ্কের গ্লুটামেট ও গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড (জিএবিএ) রাসায়নিকের সামঞ্জস্য বজায় রেখে, এই শাক বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে।

  • অ্যালজাইমার রোগের লক্ষণ কমায়ঃ- ব্রাহ্মী পাতা অ্যালজাইমার রোগের উপসর্গ কমাতে সক্ষম। এর নিউরোন মস্তিষ্কের ক্ষতির জন্য দায়ী অ্যামলয়েড যৌগ দিয়ে তৈরি। ব্রাহ্মী পাতায় বিদ্যমান ভেতরের ব্যাকোসাইড নামক বায়োকেমিক্যাল, মস্তিষ্কের কোষসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে ও মস্তিষ্কের টিস্যুকে উন্নত করে।

  • গাঁটের ব্যথা কমায়ঃ ব্রাহ্মী পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি গুণাবলীর পিঠে ব্যথা সহ গাঁটের ব্যথা, পেশীর যন্ত্রণা ও মাথাব্যথায় কার্যকরি প্রভাব রাখে।

  • শ্বাস সংক্রান্ত উপকারিতাঃ ব্রাহ্মী পাতা চায়ের মধ্যে বা একইরকমের অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে ভিজিয়ে খেলে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। আয়ুর্বেদা শাস্ত্রে ব্রঙ্কাইটিস, আটকে যাওয়া সাইনাস ও বুকে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসায় ব্রাহ্মী ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি শ্বাসনালীর মধ্যের জমা শ্লেষ্মা ও কফ বের করে দেয়।

  • দুশ্চিন্তা ও অবসাদ কমায়ঃ ব্রাহ্মী করটিসল নামক স্ট্রেস হরমোন এর মাত্রা কমায়। দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতার জন্য দায়ী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ কম হয়।

  • এসব ছাড়াও ব্রাহ্মী পাতার রয়েছে চুল মজবুত করার শক্তি।ব্রাহ্মী পাতায় আছে অ্যালকালয়েড যা প্রোটিন কাইনেসের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।

  • ব্রাহ্মী গুঁড়া ও আমলকি গুঁড়া সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মাথার তালুসহ চুলে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ৩-৪ বার এই প্যাকের ব্যবহারে চুলপড়া কমে।

  • নারকেল তেলের মধ্যে ব্রাহ্মী গুঁড়া ভিজিয়ে রেখে সেই তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবেই এবং চুল পড়াও রোধ করবে।

ব্রাম্মি গুড়া-Bacopa monnieri-(Brahmi Powder)অর্ডার করুন

ভ্রিংরাজ গুড়া-Bhringraj Powder-(Vringraj Gura)

ভৃঙ্গরাজ চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভেষজ। চুলের সবরকম সমস্যার সমাধান রয়েছে এই একটি মাত্র ভেষজে। এতে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি, ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টিগুন। চুল পড়া এবং চুল পাকাসহ চুলের যেকোনো সমস্যায় এটি মহৌষধের মত কাজ করে।

ভৃঙ্গরাজের উপাকরীতাঃ

  • ভৃঙ্গরাজ চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।

  • নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বাড়ে।

  • চুল ঘন কালো করে।

  • প্রিম্যাচিউর হেয়ার গ্রে হওয়া রোধ করে।

  • খুশকি দূর করে।

  • স্ক্যাল্পে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

  • অকালে চুল পাকা বন্ধ করে।

  • অনিদ্রা, মাথা ঘুরানো, হাই স্ট্রেস কমায় এবং স্ক্যাল্প কে প্রশমিত করে।

চুলের সমস্যায় ভৃঙ্গরাজের ব্যবহারঃ

  • চুল পড়া বন্ধ করতেঃ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়া+ বহেরা গুঁড়া+ মেথি গুঁড়া+ শিকাকাই গুড়া একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগান। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার্য।

  • খুশকি দূর করতেঃ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়া+নারকেল তেল ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করুন

  • চুলের গোড়া মজবুত করতেঃ ২ চামচ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়া + ১ চামচ আমলকি গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

ভ্রিংরাজ গুড়া-Bhringraj Powder-(Vringraj Gura)অর্ডার করুন

মাজুফল গুড়া-Maju Phal powder-(Maju Fol Gura)

এটি ব্যবহারে আাপনি অনেকগুলো সমস্যার সমাধান পাবেন।

১. মাজুফল ব্রণের সমস্যা দূর করে ভেতর থেকে

২. স্কিন টান টান হবে;

৩. স্কিন এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে;

৪. Vagina tightening এর কাজ করবে।

৫. বয়সের ছাপ দূর করে

৬.মুখের ছোট ছোত গর্ত দূর করে

৮.ত্বক কোমল করে

৯.ব্রন প্রতিরোধ করে:

১০.এটি এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যার কারনে এটি ব্যাবহারে ব্রনের সমস্যা দূর হয়।

মুলতানি মাটি-Multani Mud Powder-(Multani Mati Gura)




মেথি গুড়া -Fenugreek Powder -(Methi Gura)

মেথি গুড়া / Fenugreek Seed Powder

মেথি একটি বহুমুখী গুণসম্পন্ন মসলাজাতীয় ভেষজ বীজ। এর রয়েছে অসামান্য রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। নানাবিধ ঔষধি গুনাগুনসমৃদ্ধ মেথি ত্বক ও চুলের যত্নেও যথেষ্ট কার্যকর।

স্বাস্থ্যরক্ষায় মেথিঃ

  • মেথিতে আছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি।

  • এটি হাইপার এসিডিটি, উচ্চ রক্তশাপ, আমাশয়, শূল জাতীয় রোগের উপশম করে।

  • ডায়াবেটিক রোগীর জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। মেথিগুড়া নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয়।

  • মেথি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • দেহে চর্বির পরিমাণ হ্রাস করার মাধ্যমে মেথি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

  • মেথি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। এতে বিদ্যমান ফাইবার পানি শোষণ করে স্ফীত হয় এবং পাচনতন্ত্রের পেশীর রিফ্লেক্স ঘটায়।

  • এর নিয়মিত সেবনে প্রসূতির দেহে ল্যাকটোজেনেসিস বৃদ্ধি পায় এবং মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত হয়।

মেথিগুড়া সেবনবিধিঃ

  • রাতে ১ চামচ মেথি গুড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে শুধু উপরের পানি টাই সেব্য। নিচে জমা অংশ ফেলে দিন। একই ভাবে সকালে মেথি ভিজিয়ে রাতে সেবন করুন।

রূপচর্চায় মেথিঃ

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ১ চামচ মেথিগুড়া+ ২ চামচ গোলাপজল+ ১ চামচ দই/দুধ মিশিয়ে পেস্ট করে তা নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করুন

  • ১চামচ মেথিগুড়া+ ১চামচ অলিভ অয়েল একত্রে মিশিয়ে মুখে, গলায় ও হাতে নিয়মিত মাখুন। এতে রোদেপোড়া ভাব দূর হয়

  • চুলের গোড়া মজবুত করতে নারকেল তেলে মেথি গুড়া সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে তা স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। মেথিতে থাকা লিসিথিন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

  • চুল খুশকিমুক্ত করতে ২-৩ চামচ মেথিগুড়া+ সমপরিমাণ টকদই ও সামান্য পানি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে তা স্ক্যাল্প লাগিয়ে ৩০ মিনিত পর শ্যাম্পু করে নিন।

  • মেথিতে আছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও নিকোটিনামাইড এসিড যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়।

মেথি গুড়া -Fenugreek Powder -(Methi Gura)অর্ডার করুন

মসুর ডাল গুড়া-Lentil Powder-(Mosur Dal Gura)

মসুর ডাল গুঁড়া

রূপচর্চায় মসুর ডালের ব্যবহার খুব বেশি প্রচলিত। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ভিটামিন এ, সি, ই, কে ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান বের করে এবং ত্বককে সুন্দর করে তোলে।

নিয়মিত মসুরের ডাল দিয়ে বানানো নানাবিধ ফেইস মাস্ক মুখে লাগাতে শুরু করলে ত্বকে প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে।

ত্বকের জন্যে মসুর ডালের প্যাকঃ

👉মসুর ডাল পানি অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ম্যাসাজ করুন। এতে মরা চামড়া দূর হয়ে উজ্জ্বল হবে ত্বক।

👉মসুর ডাল গুঁড়া, গোলাপজল ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করতে দূর হবে ত্বকের রোদে পোড়া কালচে দাগ।

👉ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে মসুর ডাল গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হবে।

👉মসুর ডাল গুঁড়া+ হলুদ+ বেসন ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করুন। ত্বক পরিষ্কার করতে সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন ফেসপ্যাকটি।

👉পিঠের ও মুখের দাগ দূর করতে মসুর ডাল গুঁড়া+ চালের গুঁড়া+ মুলতানি মাটি+ কমলার খোসা গুঁড়া ও শশার রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে ও শরীরে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন।

মসুর ডাল গুড়া-Lentil Powder-(Mosur Dal Gura)অর্ডার করুন

মৌরি গুড়া-Fennel Seed Powder-(Mouri Gura)

সাধারণত আচার তৈরীতে আমরা মৌরি ব্যবহার করে থাকি।মৌরি খনিজ লবণসমৃদ্ধ একটি বীজ। , ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান আছে এতে।

মৌরির উপকারিতাঃ

  • মৌরি দেহের ভেতর জোলাপ বা ল্যাক্সিটেভ তৈরী করে। পানিমিশ্রিত মৌরি পেট ফাঁপা এবং পেট ব্যথার জন্য উপকারী

  • মৌরি প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে। মৌরি হজমের গোলযোগ এবং পেটের গ্যাস কমাতে সহায়ক। এটি খাবার হজমে সাহায্য করে।

  • মৌরিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভনয়েড, ও ফাইবার ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

  • মৌরি কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আধা চা চামচ মৌরি গুড়া কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।

  • মৌরি তে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখে গ্লুকমার মত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে মৌরি সাহায্য করে।

  • নিয়মিত মৌরি খেলে স্ট্রোক এবং হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

  • হাঁপানি, সর্দিকাশি এবং ব্যাথা যন্ত্রনা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী । মৌরি থেকে এইসমস্ত অসুখের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

ত্বকের যত্নে মৌরি গুঁড়ার প্যাকঃ

  • মৌরি গুঁড়া+ মুলতানি মাটি গুঁড়া+ আলু গুঁড়ার প্যাক ত্বকে নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়

  • পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তাতে মৌরি গুঁড়া ও টকদই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

  • চুর যত্নে মৌরি গুঁড়াঃ

  • মৌরি গুঁড়া+ মেথি গুঁড়া+ আমলকি গুঁড়া ও টকদই এর মিশ্রন চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়ে চুল পড়া কমে যায়।

মৌরি গুড়া-Fennel Seed Powder-(Mouri Gura)অর্ডার করুন

যষ্টি মধু গুড়া-Liquorice Powder-(Josti Modhu Gura)

যষ্টিমধু মূলত একটি গাছের শেকড়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে যষ্টিমধুর লোকজ ব্যবহারের ব্যাপারটি অনেক পুরোনো। হারবাল ঔষধ তৈরীর অন্যতম এ উপাদানটি স্বাস্থ্যরক্ষা ছাড়াও রূপচর্চায় বহুল ব্যবহৃত। অর্থাৎ আমাদের সুস্থ জীবনযাপনে যষ্টিমধুর ভূমিকা অনেক। এতে আছে ক্যালোরি, ভিটামিন-বি, ম্যাঙ্গানিজ,আয়োডিন, সুগার, ক্রোমিয়াম ও জিঙ্ক এর মতো পুষ্টি উপাদান

স্বাস্থ্যরক্ষায় যষ্টিমধুঃ

  • যষ্টিমধু টনসিল ও গলাব্যথা ও সর্দিকাশি কমায়। বুকে জমে থাকা পুরনো কফ পরিষ্কার করে।

  • কন্ঠনালী পরিষ্কার রাখে ও কন্ঠ শ্রুতিমধুর করে।

  • ফুটানো গরম পানিতে যষ্টিমধু গুড়া ভিজিয়ে ঠান্ডা করে তাতে মধু মিশিয়ে পান করলে এসিডিটি থেকে পরিত্রাণ মেলে।

  • স্মৃতিশক্তি বাড়াতে যষ্টিমধু মিশ্রিত দুধ খুবই কার্যকরী।

  • যষ্টিমধুতে থাকা গ্লাইসিরাইজিন লিভারকে বিষাক্ততার কবল থেকে রক্ষা করে।

  • মৃগী রোগের চিকিৎসায় সামান্য যষ্টিমধুর সাথে আধাকাপ পাকা চালকুমড়ার রস নিয়মিত সেবনে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।

  • যষ্টিমধু টিউমার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

  • যষ্টিমধু সেবনে যৌন সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে

ত্বক ও চুলের যত্নে যষ্টিমধুঃ

  • যষ্টিমধুর গুড়া+ মুলতানি মাটি+ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ততা ও দাগ দু’টোই কমে।

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি তে যষ্টিমধু গুড়া+ ঘি মিশ্রিত প্যাক যথেষ্ট কার্যকরী ।

  • যষ্টিমধুর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল হয় এবং এটি তারুণ্যকে ধরে রাখতে সহায়ক।

  • যষ্টিমধু গুড়া+ তিলের তেল+ আমলকি গুড়ার প্যাক চুল পড়া বন্ধ করে এবং খুশকি হওয়া আটকায়। এটি চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে।

যষ্টি মধু গুড়া-Liquorice Powder-(Josti Modhu Gura)অর্ডার করুন

রিঠা-Soap Nut Powder-(Ritha Powder)

রিঠা গুঁড়া / Soap Nut Powder, রিঠা বা সোপ নাট, বড়ই এর মত দেখতে একটি ফল যা সাধারণত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রচুর ফেনাযুক্ত এই ফল চুলের জন্য প্রাকৃতিক শ্যাম্পুসম। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

জেনে নিন চুলের যত্নে রিঠা গুড়া ব্যবহারের উপকারীতাঃ

  • রিঠা গুড়া চুলে প্রাকৃতিকভাবে শ্যাম্পুর কাজ করে এবং চুলকে কন্ডিশনিং করে।

  • রিঠায় বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানসমূহ চুলের ডগা ফাটা রোধ করে।

  • খুশকি এবং উকুনের সমস্যা দূর করে।

  • মাথায় এ্যাকজিমা, চুলকানি থাকলে তা নিরাময় করে।

  • রিঠাতে আছে প্রাকৃতিক কন্ডশনার যা নিয়মিত ব্যবহারে রুক্ষ-নিষ্প্রাণ চুলকে মসৃণ ও কোমল করে তোলে।

  • এর ব্যবহারে কোঁকড়ানো চুল অনেকটাই সোজা হয়ে যায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • রিঠা গুঁড়া, আমলকি গুঁড়া, শিকাকাই গুঁড়া ও সামান্য পানি একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে গোসলের আগে চুলে লাগান। সপ্তাহে অন্তত ১বার প্যাকটির ব্যবহারে দীর্ঘদিনের চুলপড়া, খুশকি, অকালে চুলপাকা ও উকুন ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।

  • প্রাকৃতিকভাবে চুল কন্ডিশনিং করতে রিঠা গুঁড়ার সাথে মেহেদী ও পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এতে চুল ঝলমলে হবে।

বিঃদ্রঃ শুষ্ক চুলে রিঠাগুড়া অল্প পরিমানে ব্যবহার্য। এবং সপ্তাহে অন্তত ১ দিন চুলে তেল লাগাতে হবে

রিঠা-Soap Nut Powder-(Ritha Powder)অর্ডার করুন

শিকাকাই গুড়া-Acacia concinna-(Shikakai Powder )

শিকাকাই একটি ঝোপ জাতীয় গাছের ফল যা চুল ও ত্বক পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকে। একে হেয়ার ফ্রুট ও বলা হয়ে থাকে। শিকাকাই তে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ, সি, ডি, ই ও কে। এবং এটি প্রচুর পরিমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে একই সাথে চুল এবং ত্বক পরিচর্যায় এটি অনন্য।

শিকাকাই এর উপকারিতাঃ

  • চুল ও ত্বক পরিষ্কার করতে শিকাকাই প্রাকৃতিকভাবে শ্যাম্পু ও সাবান এর কাজ করে।

  • এতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিনসমূহ চুল এবং ত্বককে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায়, স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

  • শিকাকাই এ আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টি যা শরীর ও মাথার ত্বককে জীবানুমুক্ত রাখে। মরা চামড়া দূর করে। ফলে খুশকি ও চুলকানি হয় না।

  • শিকাকাই চুলকে মজবুত ও ঘন করে। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

  • অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে এবং চুল কালো করে।

চুলের যত্নে শিকাকাইঃ

  • শ্যাম্পু হিসেবে চুল পরিষ্কারে শিকাকাই গুঁড়া+রিঠা গুঁড়া ও আমলকি গুঁড়া একত্রে পানির সাথে মিশিয়ে পাতলা পেস্ট করে মাথার তালুতে ঘষুন। এতে মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার হবে। এক্ষেত্রে শুধু শিকাকাই গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

  • চুল মজবুত ও ঘন করতে শিকাকাই গুঁড়ার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে গরম করে তা মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন।

  • ১চামচ শিকাকাই গুঁড়া + ১চামচ রিঠা গুঁড়া ও সামান্য একটু লেবুর রস একসাথে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের খুশকি দূর হবে।

ত্বকের যত্ন শিকাকাইঃ

  • প্রাকৃতিক বডিয়াশ হিসেবে রিকাকাই ত্বক পরিষ্কার করে। ভাতের মার ঠান্ডা হলে তাতে শিকাকাই গুঁড়া মিশিয়ে শরীরে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর হয়।

শিকাকাই গুড়া-Acacia concinna-(Shikakai Powder )অর্ডার করুন

শিমুল মূল গুড়া-Cotton Tree Root-(Shimul Mul)

শিমুল মুলকে বলা হয় বাংলার ভায়াগ্রা কেউ কেউ আবার জিন সিংও বলেথাকেন যা বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায় ।শিমুল মূল পুরুষদের যাবতিও যৌন সমস্যা দূর করে মনে কে শতেজ করে যৌন জীবনকে সুখি করে শরীরে স্বাভাবিক যৌন শক্তি যোগায়।

জিন সিং যে কাজ করে শিমুল মূলও ঐ একই কাজ করে, তবে সাথে সাথেই এর ফল পাবেন না, আস্তে আস্তে পাবেন কমপক্ষে ১ মাস খেলে ফল পাবেন,পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা যৌন দুর্বলতা শুক্রতারল্য দ্রুত বীর্যপাত এক কথায় সুস্থ যৌন জীবনের জন্যে শিমুল মূল,জন্ডিস ,মহিলাদের লিকুরিয়া জন্যে ভাল কাজ করে,শিমুল মূলের কাজ – শুক্রবর্ধক, প্রদর ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে কার্যকর। বলকারক, কামোদ্দীপক, মলরোধক। মেছতা, উদরাময় ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে উপকারী।

  • যৌবনকালে শুক্রাল্পতায় : চারা শিমুলগাছের মূল বেটে 7 থেকে 10 গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে শুক্রাল্পতা দুর হবে। প্রৌঢ় অবস্থায় শুক্রাল্পতায় : চারা শিমুল গাছের নরম মূল চাকা-চাকা করে কেটে শুকিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে চুর্ণ করে ছেকে একটা শিশিতে ভরে রাখুন। সে চুর্ণ দেড় থেকে দুগ্রাম মাত্রায় নিয়ে এককাপ দুধের সাথে খাবেন। এতে প্রচুর উপকার।শুক্রতারল্য, শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতায়

ব্যবহার্য অংশঃ মূল চূর্ণ

মাত্রাঃ ৭-১২ গ্রাম

ব্যবহার পদ্ধতিঃ সমপরিমান চিনিসহ প্রত্যহ ১-২ বার সেব্য।* রোগেরনামঃ প্রদর ও মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাবে

ব্যবহার্য অংশঃ শুষ্ক কষচূর্ণ

মাত্রাঃ ১-২ গ্রাম

ব্যবহার পদ্ধতিঃ সমপরিমান চিনিসহ প্রত্যহ ১-২ বার দুধসহ সেব্য।

  • পোড়া ঘায়ে : শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল অথ্যাৎ মোচরস দিয়ে ভিজিয়ে পোড়া ঘায়ে দিন,ঘা সেরে যাবে। এছাড়াও যন্তনাও কমে যাবে

  • যৌবনকালে শুক্রাল্পতায়: শিমুল গাছের চারা মূল বেটে ৭ থেকে ১০ গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে শুক্রাল্পতা দুর হয়ে যাবে ।

  • প্রৌঢ় অবস্থায় শুক্রাল্পতায় : চারা শিমুল গাছের নরম মূল চাকা-চাকা করে কেঁটে শুকিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে চুর্ণ করে ছেকে একটা বোতলে ভরে রাখুন। সে চুর্ণ দেড় থেকে দুগ্রাম মাত্রায় নিয়ে এককাপ দুধের সাথে খাবেন। এতে উপকার পেতে পারেন।

প্রদরে : শিমুলের কচি মূল গুলো গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিন। এটি নামাবার সময় তাতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিন। এরপর এটি দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দু’বেলা খাবেন। এতে করে প্রদরে খুব উপকার হয়।

শিমুল মূল গুড়া-Cotton Tree Root-(Shimul Mul)অর্ডার করুন

শংখ গুড়া-Conch Shell Powder-(Shankha Gura)

শঙ্খ গুঁড়া শাঁখের শেল থেকে তৈরী একধরণের আয়ুর্বেদ ঔষধ। ভারতবর্ষে নারীর সৌন্দর্য চর্চায় শঙ্খ গুঁড়া ব্যবহারের ঐতিহ্য অনেক পুরোনো।

ত্বকের যত্নে শঙ্খগুঁড়াঃ

★ শঙ্খতে রয়েছে জিংক অক্সাইড যা ত্বককে রোদ থেকে বাঁচায়।

★ ত্বককে ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বলতা দেয়।

★ শঙ্খ গুঁড়া ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া বিনাশ করে। ফলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি মেলে।

★ রিঙ্কেল ও বার্ধক্যের ছাপ কমায়।

★ চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কম করে।

👉ত্বক উজ্জ্বল করার প্যাকঃ শঙ্খ গুঁড়া ও সমপরিমাণ মুলতানি মাটি গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে মুুখে ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন। গোসলের আগে নিয়মিত এর ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

👉 শুষ্ক ত্বকের জন্য শঙ্খ গুঁড়ার প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ শঙ্খ গুঁড়া + ২ চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার+ ৪-৫ ফোঁটা আমন্ড অয়েল+ ভিটামিন সি ট্যাবলেট বা ১টি সিভিট গুঁড়া ও সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে ছোপ দূর করে।

👉 ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডস দূর করার প্যাকঃ১ টেবিল চামচ শঙ্খে গুঁড়া + ১ টেবিল চামচ তুলসী পাতা গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে তা বাদাম চিনি দিয়ে গুলে মুখে লাগান। ৫ মিনিট পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

👉 রোদে পোড়া ভাব কমানোর প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ শঙ্খ গুঁড়া + খোসা গুঁড়া আধা চা-চামচ + ৩ থেকে ৪ ফোঁটা গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ১ দিন পরপর প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

⛔সতর্কতাঃ শঙ্খ গুঁড়া কখনোই ত্বকে জোরে ঘষবেন না। সংবেদনশীল ত্বকে এটি ব্যবহার না করাই ভালো।

শংখ গুড়া-Conch Shell Powder-(Shankha Gura)অর্ডার করুন

সজনে পাতা-Moringa Leaf Powder-(Shojne Pata Gura)

সজনে অতি উচ্চমাত্রার পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ এবং সহজলভ্য ভেষজ। এর পাতায় আট রকম অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডসহ ৩৮% আমিষ আছে। সজিনা ৩০০ প্রকার ব্যাধির প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ভিটামিনের সাথে আবশ্যকীয় প্রায় সবগুলি এমাইনো এসিড সজিনা পাতায়

সজিনা পাতায় কমলা লেবুর ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার ৩ গুণ পটাশিয়াম সহ দেহের আবশ্যকীয় বহু পুষ্টি উপাদান থাকে।

এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে। দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদাত্রী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।

সজনে পাতার উপকারিতাঃ

  • সজনে পাতা হার্ট ভালো রাখে।

  • উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

  • রক্তের সুগার লেভেল কমানোর ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

  • মাইক্রো নিউট্রিয়েট নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডেফিসিয়েন্সি কমায়।

  • অন্ধত্ব দূর করতে বেশি কার্যকরি এটি। গাজর থেকে বেশি ভিটামিন এ রয়েছে এ পাতায়।

  • গেটে বাত নিরাময়ে সজনে পাতার গুঁড়ার পেস্ট হাটুতে বা ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমে।

  • সজনে পাতা আ্যনিমিয়া দূর করে। কারণ এতে আছে শাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি আয়রন।

  • কলা থেকে বেশি পটাশিয়াম আছে সজনে পাতায়। এটি আ্যন্টিএজেন্স হিসেবে কাজ করে।

  • সজনে পাতা হিস্টিরিয়া চিকিৎসায় কার্যকরি

  • এটি রক্ত সংবহণতন্ত্রের ক্ষমতাও বাড়ায়। সাজনার কচি পাতার রস নিয়মিত ব্যবধানে খেলে রক্তের উচ্চচাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে য়ায়।

  • রোজ সকালে ১ চামচ সজনে পাতা গুঁড়া পানিতে গুলে খেলে পেটের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যা।

  • এছাড়া ত্বক ও চুলের পরিচর্যায়ও এটি সহায়ক।

  • সজনে গুঁড়া পেস্ট ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক মসৃণ করে।

  • ত্বকের বলিরেখা দূর হয়।

  • ব্রণ এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।

  • চুল পড়া কমায়

চুল পড়া কমাতে সজনে পাতা গুঁড়া সামান্য পানির সাথে পেস্ট করে তাতে মধু মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। এটি স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় এবং স্ক্যাল্পকে প্রশমিত করে।

সজনে পাতা-Moringa Leaf Powder-(Shojne Pata Gura)অর্ডার করুন

সোনা পাতা গুড়া-Senna Powder-(Sona Pata Gura)

সোনাপাতা গুঁড়াঃ রসুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।’ – ( আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১)। সোনা পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলির কারণে এটা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে বেশী ব্যবহৃত হয়। কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে উদ্দীপনা যোগায় এর কারণ হল সেনোসাইড এবং রেইন এনথ্রোন হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে সোনা পাতা ভেষজ হিসেবে সরাসরি ব্যবহারের চাইতে এর গুড়া নিয়মিত খেলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। ওজন হ্রাসের জন্য, অন্ত্রের বাড়তি আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সোনা পাতার গুড়ার তুলনা নেই।

সোনাপাতা গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতাঃ

  • কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য উপশমে সোনাপাতা গুঁড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

  • সোনাপাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে।

  • এটি গুঁড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে।

  • এটি অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-আলসার হিসেবে কাজ করে থাকে।

  • এটি দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

  • চুলকে নরম, সিল্কি এবং মজবুত করে।

  • ত্বকের ইরিটেশন ও ব্রণ দূর করে।

কুইনোন সাইটোটক্সিক এবং কোষ পুনরুদ্ধার-এ রিজেনারেশনে উদ্দীপনা জাগায়, ডিটক্সিফিকেশন এবং পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে।

সোনা পাতার চা: সোনা পাতার চা খেতে সামান্য মিষ্টি এবং অধিক তিতা যদি কড়া করে বানানো হয়। তাই, সাধারণ চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

সোনা পাতা গুঁড়া সেবনবিধিঃ প্রতিদিন রাতে হাফ চা চামচ সোনাপাতা গুঁড় হাফ গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে নিয়ে অল্প পরিমাণ গরম পানি মিশিয়ে চায়ের মত পান করুন।

সতর্কতাঃ আমাশয় এবং অন্ত্রের সমস্যায় সোনাপাতার গুঁড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।

সোনা পাতা গুড়া-Senna Powder-(Sona Pata Gura)অর্ডার করুন

হরিতকি গুড়া-Myrobalan Powder-(Hortoki Powder)

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হরতকি। হরিতকি গাছকে ভেষজ চিকৎসকরা মায়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তারা বলেন, মানুষের কাছে এ বৃক্ষ মায়ের মতোই আপন। মানুষের শরীরের সব রোগ হরণ করে বলেই প্রাচীন শাস্ত্রকাররা এর নাম দিয়েছেন হরিতকি। হরিতকি তে আছে ট্যানিন, ফ্রুকটোজ, অ্যামাইনো এসিড ও বিটা সাইটোসিন এর মত উপাদান।

  • হরিতকি গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

  • এটি চুলকে মজবুত ও সিল্কি করে।

  • হৃদরোগ, আমাশয় ও জন্ডিস নিরাময়ে হরিতকি অত্যন্ত কার্যকর।

  • হরিতকি অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে। শারীরিক অবসাদ দূর করে।

  • এটি হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম এবং অস্বাভাবিকতা দূর করে।

  • ব্লাড প্রেসার কমায়।

  • হরিতকি পরজীবিনাশক ওস্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক।

  • এতে থাকা অ্যানথ্রাইকুইনোন রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

  • এটি ঋতুস্রাবের ব্যাথা কমাতে সহায়ক।

  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।

সেবনবিধিঃ

  • ৫-৬ গ্রাম হরিতকি গুঁড়া ঘোলের সাথে লবন মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে পাইলস নিরাময় হয়। অথবা আখের গুড়ের সাথে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও প্রতিকার হয়।

  • গলার স্বর বসে গেলে মুথা ও হরিতকি গুঁড়া যোয়ানের সঙ্গে পান করলে স্বর স্বাভাবিক হয়।

  • এলার্জি কমাতে হরিতকি গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন।

  • রাতে শোবার আগে পানিতে হরিতকি গুঁড়া, সামান্য বিট লবন, দ্বারচিনি ও লবঙ্গ পানিতে মিশিয়ে পান করলে পেট পরিষ্কার থাকবে।

হরতকি গুড়া-Myrobalan Powder-(Hortoki Powder)অর্ডার করুন